চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল লাশঘরের দেখাশোনার দায়িত্ব ছিল মো. সেলিম (৪৮)। কিন্তু মর্গে অল্প বয়সী কোনো নারীর মরদেহ আনা হলে মৃত ওই নারীকে ধর্ষণ করতেন তিনি। এদিকে, গত বছরের ফেব্রুয়ারি এবং এপ্রিলে চট্টগ্রামে দুই নারীর অপমৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে ধরা পড়ে সেলিমের এই কুকীর্তি।
দুজনেরই মৃত্যু ভিন্ন কারণে, কিন্তু ময়নাতদন্তে মেলে ধর্ষণের আলামত। ঢাকায় সিআইডির ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় দেখা যায় দুজনেরই ধর্ষক একজন। পরে সিআইডির তদন্তে জানা যায়, মর্গে থাকা অবস্থায় দুই নারীর মরদেহের সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হন সেলিম।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত সেলিমকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ খালেদ বলেন, সেলিম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এক নারী ও শিশু লাশের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। সেলিমের বিরুদ্ধে নগরের পাঁচলাইশ থানায় একটি ধর্ষণের মামলাও রয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।